ব্রেকিং
প্রকাশ: ১০:১৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
শিক্ষাকে আমরা সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা খুব মেধাবী, একটু সুযোগ পেলে তারা অসাধ্য সাধন করতে পারে।
২০২২ সালে অনুষ্ঠিত উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও পরিসংখ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাসের হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা একটু বেশি। প্রায় আড়াই শতাংশ বেশি, এখানে ছেলেদের বলবো পড়ালেখায় আরো মনোযোগী হওয়া দরকার। এক্ষেত্রে অভিভাবক ও শিক্ষকরা একটু মনোযোগী হবেন।
তিনি বলেন, শিক্ষিত জাতি ছাড়া কখনো একটি দেশ উন্নত হতে পারে না। আমরা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবচেয়ে দরকার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী, আমি মনে করি এটাই হচ্ছে হাতিয়ার। এজন্য জাতির পিতা সবসময় শিক্ষাকে শুধু গুরুত্বই দেননি, শিক্ষায় যে টাকাটা ব্যয় হবে সেটাকে তিনি বিনিয়োগ হিসেবে দেখতেন।
সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা শিক্ষাকে সবসময় গুরুত্ব দিয়েছি। সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য আমরা সবসময় পদক্ষেপ নেই, এমনকি আমাদের একটা প্রজেক্ট ছিল নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রতিটা জেলা যাতে নিরক্ষরমুক্ত হয় সেভাবেই উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কয়েকটি জেলার মধ্যে এটা ঘোষণাও করা হয়েছিল। ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি, তার পরে বিএনপি ক্ষমতায় আসে, সে প্রজেক্ট আর তেমনভাবে কার্যকর হয়নি।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে আমারও শিক্ষাকে বহুমুখীকরণ করেছি, শিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমানে যুগের সঙ্গে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন তাল মিলিয়ে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। প্রতি জেলায় আমরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি, সেটা একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, আবার উচ্চশিক্ষার সুযোগও সৃষ্টি হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় আমরা করেছি। একটা মাত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, আমরা কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি দেখেছিলাম বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের অনীহা ছিল, আমি সে সময় ১২টি বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দিয়ে একটি আইন করে দেই। তারপর বহুমুখী বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। আমরা সবসময় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি এটা, গবেষণারই ফসল। বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও কৃষির বর্তমানে যে গবেষণা চলছে তার সঙ্গে অন্যান্য ক্ষেত্রেও তিনি গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় গত ৬ নভেম্বর সারাদেশে স্বাভাবিক পরিবেশে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এবং শেষ হয় ২২ ডিসেম্বর। মাত্র ৫৭ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হলো। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭জন। এর মধ্যে ৬লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ জন ছাত্র এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন।
সিলেট নিউজ ২৪