ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

২৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ রমজান ১৪৪৬

সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার কমেছে কমেছে ১৩.৪০ ভাগ, জিপিএ বেড়েছে

প্রকাশ: ১১:০৯, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার কমেছে কমেছে ১৩.৪০ ভাগ, জিপিএ বেড়েছে

সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার কমেছে কমেছে ১৩.৪০ ভাগ, জিপিএ বেড়েছে * পাসের হার ৮১.৪০, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮৭১ জন, পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে


২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮১.৪০ শতাংশ। এই বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেছেয়ে ৪ হাজার ৮৭১ জন।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলের মাধ্যমে এই ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ড সচিব অধ্যাপক মো. কবির আহমদ। এসময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পালসহ শিক্ষা বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবছর সিলেট শিক্ষাবোর্ড থেকে ৬৬ হাজার ৪৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৫৪ হাজার ১২২ জন। 
২০২১ সালে সীমিত সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। তখন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯৪.৮০ ভাগ। ২০২২ সালে যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগ। এই বিভাগের ৯০.৫০ শতাংশ পাস করেছে। এছাড়া ব্যবসা শিক্ষায় ৮০.২৩ শতাংশ ও মানবিকের ৭৯.১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়েও এগিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ। বিজ্ঞানে ৩ হাজার ৩৩৩ জন, মানবিকের ১ হাজার ২৬ জন ও ব্যবসা শিক্ষার ৫১২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

জেলা ওয়ারি ফলাফল বিশ্লেষনে দেখা যায়, সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে সিলেট জেলা। এই জেলায় পাসের হার ৮৬.৪৮ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬৯ জন। হবিগঞ্জ জেলায় পাসের হার ৮২.২৭ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩৪ জন। মৌলভীবাজার জেলায় পাসের হার ৭৪.৯১ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৭৯ জন। সুনামগঞ্জ জেলায় পাসের হার ৮২.৮৫ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮৯ জন।

পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। মেয়েরা ৮২.৬১ শতাংশ ও ছেলেরা ৭৯.৬১ শতাংশ পাস করেছে।

গতবছরের তুলনায় সিলেটে এবার পাসের হার কমেছে। গতবছর পাসের হার ছিল ৯৪.৮০ শতাংশ। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৭১৯ জন।

সিলেটে এবার শতভাগ পাস করেছে ১১ টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তবে শতভাগ ফেল কোন কলেজ নেই।

এবারের ফলাফলকে সন্তোষজনক উল্লেখ করে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক মো. কবির আহমদ বলেন, গত পরীক্ষার আগে সিলেটে ভয়াবহ বন্যা ছিলো। এছাড়া করোনার কারণে ঠিকমত ক্লাসও হয়নি। এসব বিবেচনায় এবারের ফলাফল সন্তোষজনক।

তিনি বলেন, গত দুইবছরের ফলাফলের সাথে এবারের ফলাফল তুলনা করলে চলবে না। কারণে গতবছর সীমিত কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। আর তার আগের বছর অটো পাস দেওয়া হয়েছে। তাই ফলাফলের তুলনা করতে হবে ২০১৯ সালের সাথে। ওই বছল পাসের হার ছিল ৬৭.০৫ শতাংশ।

সিলেট নিউজ ২৪

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন