ব্রেকিং
প্রকাশ: ১৬:৪০, ১৪ জুন ২০২১
চিত্রনায়িকা পরীমনিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ-ডিবি।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ।
তিনি জানান, সাভার জেলা পুলিশের অনুরোধে দুপুরে উত্তার একটি বাসা থেকে নাসির উদ্দিন ও তার তিন রক্ষিতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় বিদেশি মদ, ইয়াবা ও অবৈধ অনেক কিছু।
তিনি বলেন, উঠতি বয়সের মেয়েদের নিয়ে ডিজে পার্টি করার অভিযোগ আছে নাসিরের বিরুদ্ধে। নাসির উদ্দিন একজন মদ ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনেও মামলা করবে ডিবি।
এর আগে সোমবার সকালে অভিনেত্রী নিজে বাদী হয়ে সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের নামে মামলা করেন।
জানা গেছে, নাসির উদ্দিন মাহমুদ (নাসির ইউ মাহমুদ নামেও পরিচিত) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) সাবেক নির্বাহী পরিষদের সদস্য।
তিনি ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালের উত্তরা ক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি, লায়ন ক্লাবের ঢাকা জোনের চেয়ারম্যান ছিলেন।তিনি ৩৭ বছর ধরে ডেভেলপার ব্যবসায়ে আছেন।
১০ বছর ধরে মাহমুদ কুঞ্জ ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। কুঞ্জ ডেভেলপার্সের আগে তিনি মাহমুদ বিল্ডার্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের এমডি ছিলেন।
রবিবার রাতে ফেসবুকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পোস্ট দেয়ার পর রাতেই নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন পরীমনি। তিনি জানান, ৯ জুন (বুধবার) রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বুধবার রাতে উত্তরার বোট ক্লাবে ঘটনাটি ঘটে। নাসির উদ্দিন নামে একজন তাকে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে এ ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন।’
নারীরা হলেন- লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সাভার থানার মামলা ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা হবে উত্তরা পশ্চিম থানায়। ওই তিন নারী যদি রাজি হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক যৌন কাজ করানোর অভিযোগ এনে আরও একটি মামলা হবে।“
মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, উত্তরার যে বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি স্নিগ্ধা নামের নারীর।এই বাসায় নাসির ও অমি ‘আমোদ-ফুর্তি’ করতে আসতেন,” বলে দাবি করেন তিনি।
গ্রেপ্তার অভিযানের সময় ওই বাসা থেকে এক হাজার ইয়াবা ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ-বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
পরীমনির অভিযোগের পর রোববার রাত থেকে ঘটনাটি আলোচনায় রয়েছে। সোমবার সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের নামে মামলা দায়ের করেন এই অভিনেত্রী। এরপর ৫জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই পাঁচ আসামি রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে থাকবে জানিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, মঙ্গলবার শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে তাদের আদালতে হাজির করা হবে।
সিলেট নিউজ ২৪