শিরোনাম
প্রকাশ: ১৭:১২, ২২ জুন ২০২৩
দলীয় প্রার্থীতা নিয়ে মান অভিমান, সন্দেহ সংশয় কাটিয়ে লন্ডন থেকে উড়ে এসে অবশেষে মেয়র হয়েই গেলেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। প্রয়াত মেয়র কামরানে উত্তরসূরী হিসেবে তিনিই নৌকার মাঝি হয়ে তাক লাগিয়ে দেন।
প্রথমদিকে স্হানীয় নেতা ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এটা সহজভাবে নেননি বিশ্বাসও করতে চাননি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নবোর্ড সিলেট সিটির মেয়র প্রার্থী হিসেবে তাঁর হাতেই নৌকা তুলে দেন।
দলীয় সিদ্ধান্তে ধানের শীষের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বচন বয়কট করায় সহজেই নৌকা করে নগর ভবনে পৌঁছে গেলেন যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা প্রধানমন্ত্রী পরিবারের স্নেহভাজন হিসেবে পরিচিত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
ক্ষমতায় থাকার পরও তারঁ পূর্বসূরী আওয়ামীলীগের প্রয়াত নেতা সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান গত দুটি নির্বাচনে বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর নিকট পরাজিত হন। ফলে টানা ১০ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন আরিফুল হক। ফলে নির্বাচনে আরিফুল হক প্রার্থী না হওয়ায় ১০ বছর পর ফের মেয়র পেল আওয়ামী লীগ।
২১ জুন বুধবার অনুষ্ঠিত ৫ম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সাথে অর্ধলক্ষাধীক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দুই মেয়াদে মেয়রের আসনে ছিলেন আওয়ামী লীগের নগর সভাপতি প্রয়াত বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান।
৩য় ও ৪র্থ মেয়াদে মেয়র ছিলেন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী।
সিলেট সিটিতে বুধবার সকাল ৮টায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।বিভিন্ন কেন্দ্রে কিছুটা উত্তেজনা ও ইভিএমে ধীরগতির অভিযোগ ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ হয়।
ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয় গণনা। গণনার সঙ্গে সঙ্গে ফল ঘোষণা হতে থাকে। নগরীর জালালাবাদ গ্যাস অডিটরিয়ামে এ নির্বাচনের ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রের চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। যদিও ঘোষণার মধ্যেই ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। বাবুলের দাবি, সবই নির্বাচন কমিশনের সাজানো নাটক।
তবে চমক দেখিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া মাষ্টার। তেমন কোন প্রচার প্রচারণা ছাড়াই তিনি প্রায় ৩০ হাজার ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনে প্রথমে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েও পরে সরে দাঁড়ান ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান। তার হাতপাখা ব্যালটে পড়েছে ১২ হাজার ৭৯৪ ভোট।
নির্বাচনে মেয়র পদে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম ৩ হাজার ৪০৫, আব্দুল হানিফ কুটু ৪ হাজার ২৯৬, মোশতাক আহমদ রউফ মোস্তফা ২ হাজার ৯৫৯ ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ছালাহ উদ্দিন রিমন ২ হাজার ৬৪৮ ভোট পেয়েছেন।
সিলেটে এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এবারই প্রথমবারের মতো সিলেটে ইভিএমে ভোট হলো।
সিলেট নিউজ ২৪