ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ধোপাগুল পাথর মিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতাদের বৈঠক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

প্রকাশ: ২০:৫৭, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ২১:০০, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

ধোপাগুল পাথর মিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতাদের বৈঠক

সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুলে অবস্থিত ধোপাগুল পাথর মিল নিয়ে প্রশাসনের সাথে চলমান সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সাথে পাথর সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন ও পরিবহন ইউনিয়ন নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৈঠক শুরু হয়ে চলে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।

ধোপাগুল পাথর মিল উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসনের সাথে পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের বিরাজমান পরিস্থিতি সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এ বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

গত ১৩ এপ্রিল সিলেটের জেলা প্রশাসন কতৃক ধোপাগুলে গড়ে উঠা পাথর মিল উচ্ছেদ অভিযানে যায়। ঐদিন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১৪/১৫ পাথর মিল গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় বহিরাগত কিছু পাথর মিল মালিক ও শ্রমিকরা প্রশাসনের উপর হামলা করে। ঘটনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাথর মিলগুলো উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসন শক্ত অবস্থানে যায়।

পরে বিষয়টি খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মো. দিলোয়ার হোসেন পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠনের অনুরোধে সমস্যাটি নিয়ে বিএনপি'র চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নিকট সন্নাপন্ন হন।

সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে উচ্ছেদ অভিযানটি আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করান। জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করার পর গত ২০ এপ্রিল আরিফুল হক চৌধুরী ধোপাগুলে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন। সেখানে তিনি যৌক্তিক আন্দোলনে পাথর সমিতি, শ্রমিক ও পরিবহন শ্রমিকদের পাশে থাকবেন বলে সমাবেশে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন।

মেয়রের মধ্যস্থতায় মূলত জেলা প্রশাসকের সাথে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসকের সাথে বৈঠকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, কোনো পাথর মিলে অবৈধ কোনো ধরনের পাথর ভাঙ্গা যাবে না, শুধুমাত্র এলসি পাথর ভাঙতে হবে। পরিবেশের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখে, প্রতিটি পাথর মিলে পাথর ভাঙ্গার সময় পানি দিয়ে পাথর ভাঙ্গতে হবে। কোনো সরকারি ভূমি অথবা সড়কের জায়গায় পাথর মিল স্থাপন করা যাবে না। শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় পাথর মিল স্থাপন করতে হবে, যদি ধুপাগোল বা অন্য কোন জায়গায় অবৈধ পাথর মিলের প্রমান পাওয়া যায়, তাহলে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সেই সকল পাথর মিল জব্দ করা হবে।
কেউ যাতে কোনো ধরনের অবৈধ কাজ করেত না পারে সে দিকে নিজ নিজ দায়িত্বে ও স্টোন ক্রাশার ও পাথর বালু ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দরা বিষয়টি মনিটরিং করবেন। হামলায়-মামলার বিষয়টি নিয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে কোনো মামলায় নিরীহ ও নির্দোষ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রেখে কাজ করতে হবে।

বৈঠকে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ, সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোশনুর রুবাইয়াং উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় পাথর মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন ও পরিবহন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দিলু মিয়া, কার্যকরী সভাপতি আব্দুল সালাম, কার্যকরী সভাপতি নাজির আহমদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ খান সাদেক, ব্যবসায়ী নেতা ও  সদর উপজেলা বিএনপি'র নির্বাহী সদস্য মামুন আল রশিদ হেলাল, স্টোন ক্রাশার ব্যবসায়ী ও খাদিম নগর ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ সভাপতি সৈয়দ ছালেহ আহমদ শাহনাজ, স্টোন ক্রাশার ব্যবসায়ী ও খাদিমনগর ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামী নেতা জয়নুল হক, ব্যবসায়ী নেতা ও জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ শাহীন, এয়ারপোর্ট থানা শ্রমিক দলের আহবায়ক আব্দুল মুমিন, ব্যবসায়ী নেতা ও জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক, সদর পাথর বালু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মন্তাজ আলী, সাধারণ সম্পাদক মুজাম্মেল আলম সাদ্দাম, কোষাধ্যক্ষ আজাদ মিয়া, সদর পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মুহিবুর রহমান সুলেমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, ভোলাগঞ্জ ষ্টোন ক্রাশার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী বাবুল, ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ, মামুনুর রশীদ, গুপি বাবু, হাবিব, কাজি ফরহাদ, মো:সুজন মিয়া প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন