ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

২৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৪ রমজান ১৪৪৬

ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১,০০০ ছাড়িয়েছে,ধ্বংসস্তূপে বহু মানুষ

প্রকাশ: ১২:২২, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১,০০০ ছাড়িয়েছে,ধ্বংসস্তূপে বহু মানুষ

ভূমিকম্পে সিরিয়া ও তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। সময় যত যাচ্ছে নিখোঁজদের উদ্ধারের সম্ভাবনাও কমে আসছে। মৃতের সংখ্যা কয়েকগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই দুর্যোগে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে উদ্ধার কার্যক্রমও ধীর হয়ে আছে।  

দুটি দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

উত্তর সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজন সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো প্রায় কেউ নেই।

তুরস্ক জানিয়েছে, তারা এরইমধ্যে ৮ হাজার ৫৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। দেশটির দুর্যোগ সংস্থা নিয়মিত মৃতের সংখ্যা আপডেট করছে। তবে সিরিয়ার হতাহতের সংখ্যা পাওয়া বেশ কঠিন। এর অনেক এলাকা এখনও বিদ্রোহীদের দখলে রয়ে গেছে। 

সরকার সেখান থেকে হতাহতের সংখ্যা সংগ্রহ করতে পাড়ছে না। তবে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোর দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ২৫৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অর্থাৎ দুই দেশে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন সাড়ে ৯ হাজার মানুষ। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই সংখ্যা কয়েকগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

রয়টার্স জানিয়েছে, তুরস্কের ১০ প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান। তবে দেশটির বাসিন্দারা ধীর উদ্ধার অভিযান নিয়ে অসন্তোষ জানাচ্ছেন। 

১৯৯৯ সালের পর এটিই দেশটির সবথেকে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এমন স্থানে এই ভূমিকম্প হয়েছে যা ভূমিকম্পপ্রবণ হিসেবে পরিচিতও না। তাই ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবেলায় তেমন প্রস্তুতিও ছিল না। 

ভূমিকম্পে সীমান্তের দুই পাশে হাজার হাজার ভবন ভেঙে পড়েছে। আবার রাতের বেলা ভূমিকম্প হওয়ায় অনেকেই ঘুম থেকে উঠে দ্রুত বাইরে বের হতে পারেননি। তারা সকলেই চাপা পড়েছেন। এখন সময় যত গড়াচ্ছে, তাদের জীবিত উদ্ধারের আশাও কমে আসছে। 

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বাড়তেই থাকায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তিনি বলেন, বিপন্ন ভূমিকম্প কবলিত জোনে আছে দেশটির কমপক্ষে ১০টি শহর। সাহায্যের নিশ্চয়তা পেয়েছেন ৭০টি দেশ থেকে। তিনি গৃহহীন মানুষদের অস্থায়ী আবাস হিসেবে আন্তালয়ার হোটেলগুলোকে ব্যবহারের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।

সিলেট নিউজ ২৪

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন