ব্রেকিং
প্রকাশ: ১৮:২৯, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
ম্যাচের প্রথমার্ধেই বাজে রেকর্ড গড়েছে স্পেন। সবচেয়ে বেশি পাস খেলেও ১৯৬৬ সালের পর গোলে সবচেয়ে কম (মাত্র একটি) শট নিয়েছে। ১২০ মিনিটের ম্যাচেও লা রোজাদের গোলের লক্ষ্যে শট ছিল ওই একটিই। অথচ মরক্কোর বিপক্ষে দলটি ৭৬ শতাংশ বল পায়ে রেখে রেকর্ড এক হাজার ১৯টি সফল পাস খেলেছে।
শেষ পর্যন্ত ওই স্পেন টাইব্রেকারে মরক্কোর বিপক্ষে হেরেছে ৩-০ গোলে। অথচ ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে বলেছিলেন, গত ইউরোর সেমিফাইনালে হারের পর টাইব্রেকারের জন্য তারা এক হাজার করে শট মারার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। কারণ মূল আসরে এসে পেনাল্টি অনুশীলন পর্যাপ্ত হয় না।
স্পেনের ‘তিকিতাকা’ দর্শনের জন্য মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই ‘সহজ কৌশল’ নিয়েছিলেন। তারা বল পায়ে রাখলে রাখুক, কিন্তু বক্সের মুখে আসার আগে ওই বড় কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো না- এই ছিল কৌশল। স্পেনও নিজেদের অর্ধে এবং মরক্কোর ফাস্ট থার্ডে বলের পর বল চালাচালি করেছে। সাফল্য বলতে তাদের সাতটি আক্রমণ তুলতে পারা।
চারটি পেনাল্টি ফিরিয়ে মরক্কোর জয়ের নায়ক ইয়াসিন বৌনুউ। ছবি: টুইটার
অন্যদিকে মাত্র ২৩ শতাংশ বল পায়ে নিয়ে এবং ৩০৪টি পাস খেলে মরক্কো স্পেনের গোলে ভালো দুটি শট নিয়েছিল। তারাও আক্রমণ তুলেছিল চারটি। যা থেকে গোল হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না। নির্ধারিত সময়ে গোল না হওয়ার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোলশূন্য সমতা।
টাইব্রেকারে তরুণ দল নিয়ে বিশ্বকাপে আসা স্পেন খুবই বাজে করেছে। তারা চারটি শট নিয়ে চারটিই মিস করেছে। বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে চারটি পেনাল্টি মিস করার রেকর্ড গড়েছে। এমনকি বিশ্ব আসরে পাঁচবার টাইব্রেকার ভাগ্যের সামনে পড়ে তিনবার হেরেছে তারা। অন্যদিকে মরক্কো চারটি শট নিয়ে তিন গোল করে প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে। পর্তুগাল-সুইজারল্যান্ড ম্যাচের জয়ী দল কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের মুখেমুখি হবে।
সিলেট নিউজ ২৪