ব্রেকিং
স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রকাশ: ১৮:৫৫, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের উদ্যোগ যদি সফল হয়, তাহলে এ বছরের শেষের দিকে হামজার শহর সিলেটে হতে পারে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ। গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় ইংলিশ লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর। ভারতের শিলংয়ে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হলেও নিজের ঝলক দেখিয়েছেন হামজা।
গত ১৭ মার্চ সিলেটে পা রাখেন হামজা চৌধুরী। বিমানবন্দর থেকে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটের নিজ বাড়ি পর্যন্ত উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন তিনি। হামজাকে দেখার জন্য তার বাড়িতে ছিল মানুষের ঢল।
সেবার এলাকাবাসী হামজাকে দেখেছেন ঠিকই, তবে গ্যালারিতে বসে তার খেলা দেখতে পারেননি। তবে সিলেটবাসীর এই স্বপ্ন পূরণ হতে পারে এ বছরের শেষের দিকে। ১৮ নভেম্বর সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ভারতকে আতিথ্য দিতে চায় বাংলাদেশ।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পরবর্তী ম্যাচ জুনের ১০ তারিখ, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় স্টেডিয়ামে। ৯ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলবে চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে। আর নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে চায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে।
ফেডারেশনের কম্পিটিশন কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শনিবার বাফুফেতে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা দুইটা আন্তর্জাতিক ম্যাচের (ভারত ও হংকং) একটা সিলেটে, আরেকটা চট্টগ্রামে আয়োজন করতে চাই। আমি গত শুক্রবার সিলেটের মাঠ দেখতে গিয়েছিলাম। মাঠের কন্ডিশন ভালো। যেহেতু এখন সেখানে কোনো লিগের খেলা হচ্ছে না, ঘাস একটু বড়। তবে যা অবস্থা, কিছু সংস্কার করে ম্যাচ চালানো সম্ভব।’
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের আগে তিনটা আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২২ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে এবং তার পরের বছর সিশেলসের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।
নিজ শহর সিলেটের মাঠে যদি হামজা খেলেন, তাহলে গ্যালারিতে প্রচুর দর্শক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। সেইসঙ্গে সিলেটের আরেক ফুটবলার সামিত সোম যদি খেলে, তাহলে দর্শকদের জায়গা দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়তে পারে।
বাফুফের সদস্য ইকবাল আরও বলেন, ‘সিলেটে অতীতে যে ম্যাচগুলো হয়েছে, সেখানে দর্শকের ভালো সমাগম দেখেছি। আগামী দিনে হামজা-সামিত থাকলে সিলেটবাসীর জন্য সেটা আরও দারুণ কিছু হবে।’