ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

লাউয়াছড়া ও মাধবকুণ্ড ৭ মাস পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত 

প্রকাশ: ১৫:২১, ২ নভেম্বর ২০২০

লাউয়াছড়া ও মাধবকুণ্ড ৭ মাস পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত 

সিলেট বিভাগের অন্যতম আকর্ষণীয় দুটি স্থান লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ৭ মাস পর রোববার থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। 

করোনা সংক্রমণের কারণে এতোদিন বন্ধ ছিলো এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ দুটি স্থান।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকরা লাউয়াছড়া ও মাধবকুণ্ডে যেতে পারবেন বলে ট্যুরিস্ট পুলিশ মৌলভীবাজার জোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্র জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবকুণ্ড ইকোপার্কসহ বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন সকল দর্শনীয় স্থান ও ইকোপার্ক রোববার থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দর্শনার্থীগণকে প্রবেশ করার জন্য পর্যটন সংশিষ্টসহ সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ১২৫০ হেক্টর জমি নিয়ে লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল। ১৯৯৬ সালে এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। উদ্ভিদ আর প্রাণী বৈচিত্রের আঁধার এই বন বিভিন্ন বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। 

বন বিভাগের হিসেব মতে, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৫৯ প্রজাতির সরীসৃপ (৩৯ প্রজাতির সাপ, ১৮ প্রজাতির লিজার্ড, ২ প্রজাতির কচ্ছপ), ২২ প্রজাতির উভচর, ২৪৬ প্রজাতির পাখি ও অসংখ্য কীট-পতঙ্গ রয়েছে। এই বনে বিরল প্রজাতির উল্লুক, মুখপোড়া হনুমান, চশমাপড়া হনুমানও দেখতে পাওয়া যায়।

অপরদিকে, দেশের বৃহত্তম জলপ্রপাত মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখার মাধবকুণ্ড। প্রায় ২০০ ফুট উঁচু টিলা হতে পাহাড়ি ঝর্নার পতিত জলরাশি পর্যটকের জন্য আকর্ষণীয়।প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক মাধরকন্ডের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে যান।

এ জলপ্রপাতের নিকটেই খাসিয়া নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। জলপ্রপাতের চতুর্দিকে বিশাল বনভূমি অবস্থিত। মাধবকুন্ড জলপ্রপাত সংলগ্ন কুণ্ডে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চৈত্রমাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে বারুনী স্নান হয় এবং মেলা বসে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এটি একটি তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচিত।

সিলেট নিউজ ২৪

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন