ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

বিয়ানীবাজারে ‘শ্রান্তির পারাবার’ পর্যটন কেন্দ্রে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা:

প্রকাশ: ১৮:১৯, ৫ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৮:২০, ৫ এপ্রিল ২০২৫

বিয়ানীবাজারে ‘শ্রান্তির পারাবার’ পর্যটন কেন্দ্রে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

ঈদুল ফিতরের দিন দুপুর থেকেই বিয়ানীবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো মুখরিত হয়ে ওঠেছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এখনো সেইসব পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। এখানকার বিভিন্নœ পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে দর্শনার্থীদের পদচারণায়।

উপজেলার বিজিবি-৫২'র তৈরী কৃত্রিম বিনোদন কেন্দ্র, কাকরদিয়ার কাকরভিলা, লাউতার আরশিনগর, শেওলা স্থলবন্দরসহ পৌরশহরের প্রাচীণতম জমিদার বাড়ি লোকে লোকারণ্য। হাসনাহেনা ফুলে সুভাসিত চারিধার/ প্রকৃতির মাঝে খুজে পাই শ্রান্তির পারাবার-কবির সেই শ্রান্তির পারাবার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে খুঁজছেন বিয়ানীবাজারের দর্শনার্থীরা।

গত কয়েক বছর থেকে ঈদের সময় বিয়ানীবাজারবাসী ভিড় করছেন কুশিয়ারা নদীর বুকে জেগে ওঠা বালুচরে। সেখানে ছবি তুলে প্রকৃতির মিশেলে নিজেকে ফুরফুরে করার চেষ্টা করেন। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে নৌকায় চড়ে বসেন। 

বালুচরে ঘুরতে আসা পর্যটক শাহজাহান সিদ্দিক বলেন, নদীর মৃদু ঢেউ আর প্রকৃতির মিশেলে বিকালের সময়টা বেশ ভালো কাটে। কবি আজিজ ইবনে গনি বলেন, আমার বাড়ি এই এলাকায় হওয়ায় বিনোদন সময়ে দেখতে পাই মানুষের উচ্ছ¡াস। নৌকায় চড়ে শিশুকালের অনেক স্মৃতি মনে করেন ভ্রমণ পিপাসুরা। 

এছাড়াও উপজেলার গজারাই এলাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা হচ্ছে আরশিনগর নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। পাখির প্রতি অকৃত্রিম মায়ায় পর্যটন স্পটের ভিতরে গড়ে তোলা ছাউনী ঘরের চতুর্দিকে কৃত্রিমভাবে বাবুই পাখির বাসা তৈরী করেছেন প্রতিষ্টানের মালিক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফখরুল ইসলাম। এছাড়াও বিভিন্ন গাছের সাথে হরেক প্রজাতির পাখির বাসা গড়ে তোলা হয়েছে।

দর্শনার্থীরা জানান, ‘বাড়ির পাশে আরশিনগর’ এতো সৌন্দর্য্যে ভরপুর হয়ে উঠবে কখনো ভাবিনি।’ আরশিনগরের ব্যবস্থাপক ইউনুছ আহমদ জানান, ঈদ উপলক্ষে হাজারো মানুষ প্রতিদিন এখানে ভিড় করছেন। 

সবুজ মাঠ আর গাছ-পালায় ঘেরা কাকর ভিলার সৌন্দর্য অত্যন্ত নান্দনিক। এখানের পরিচ্ছন্ন খোলা সবুজ মাঠ, বাগানের ছাউনির নিচ বা পুকুর পাড়ের বসার জায়গায় বসে কাটিয়ে দিতে পারেন ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প আড্ডা আর গানে। এখানে আছে নিজে রান্না করে খাওয়ার সুযোগ। অনেকে শখের বসে মাটির চুলার খাবার পছন্দ করেন তাই মাটির চুলা বা গ্যাসের চুলায় রান্না সরবরাহের সাথে থাকছে বিভিন্ন রকম খাবার সুবিধা। সময়টা আরো উপভোগ্য করার জন্য রয়েছে ফায়ারক্যাম্প, নৌকা ভ্রমণ, গরম গরম পিঠা, মাটির কাপে চা ইত্যাদি। খেলাধুলার জন্য রয়েছে ইনডোর গেইমের ব্যবস্থা। বিশাল পুকুরে আছে সাঁতার কাটার সুযোগ। কাকরভিলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল খান জানান, এই পর্যটন স্পটকে আরোও নান্দনিক করতে কাজ চলছে। 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন