ব্রেকিং
প্রকাশ: ০৭:০৯, ১৮ জুন ২০২৩
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় নতুন জাতের মিষ্টি আলু চাষ হয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাতগুলো এ অঞ্চলে ব্যাপক আকারে চাষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এই সম্ভাবনার দ্বার খুলেছেন জাতীয় পদকপ্রাপ্ত দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁওয়ের কৃষক সৈয়দুর রহমান।
জানাযায়, খরচ কম হওয়া ও ভালো ফলন পাওয়ায় অনেক কৃষকই মিষ্টি আলু চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এ বছরই জাতটা আবিষ্কার করেছে।
‘কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় মিষ্টি আলু চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁওয়ের কৃষক সৈয়দুর রহমানসহ অনেকেই। সৈয়দুর রহমান দ্বিতীয় বারের মতো ১৫ শতক জমিতে বারি ৫টি জাতের মিষ্টি আলুর আবাদ করেন এবার।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাজিব হোসেন বলেন, এ জাতটি স্বল্প জীবনকালীন এবং অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ উচ্চ মূল্যের একটি সবজি। দক্ষিণ সুরমার আবহাওয়া এবং মাটি এই ফসলটি চাষের জন্য উপযোগী এবং ঝুঁকিও কম। এটির ফলনে মাটিতে অনেক দিন রস থাকে। আগাছা কম হয়। মিষ্টি আলুর পাতা পচে উৎকৃষ্ট সারও হয়।
এটি সম্প্রসারণের জন্য কৃষি কর্মকর্তারা ‘কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পে’র আওতায় কৃষকদেরকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং প্রদর্শনী সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। আগামীতে সিলেটে এর আবাদ ও এলাকা বৃদ্ধি পাবে বলে তারা আশা করছেন।
সফল কৃষক সৈয়দুর রহমান বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে দ্বিতীয় বারের মতো সহযোগিতা পেয়ে ১৫ শতক জমিতে মিষ্টি আলু বারি-১২, বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৬ ও বারি-১৭ জাতের চাষ করি। মিষ্টি আলু চাষ বাবদ প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ করে লাভ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, এটি চাষে উৎপাদন খরচ কম ও ভালো মূল্য পাওয়া যায়।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, সিলেটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল বলেন, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এ বছরই জাতটা আবিষ্কার করেছে। স্থানীয়ভাবে কৃষকদের মাঝে এর বীজ বিতরণের পর সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি আলু চাষ হয়।
বিশেষ করে দক্ষিণ সুরমায় দ্বিতীয় বারের মতো বারি মিষ্টি আলু চাষ করা হয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাতগুলো এ অঞ্চলে ব্যাপক আকারে চাষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অনেক কৃষকই মিষ্টি আলু চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আশা করছি, এটি চাষ করে অনেকেই অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবেন।
সিলেট নিউজ ২৪